ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী নির্যাতনের দায়ে স্বামীর কারাদণ্ড

আজকের তরুণকণ্ঠ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীকে দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (১৩ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ হামিদ এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়নাল দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মৃত বিরু শেখের ছেলে।

আদালত ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা শুকুর মিয়ার পাড়া গ্রামের বাতেন মণ্ডলের মেয়ে লিপি আক্তারের সঙ্গে আয়নালের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে লিপিকে চাপ দিয়ে আসছিল আয়নাল ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৮ জুন দুপুর ১২টায় আয়নাল ও তার পরিবারের সদস্যরা বাঁশের লাঠি দিয়ে লিপিকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় লিপির বাবা বাতেন মণ্ডল বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মুহাম্মদ মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, “এ মামলায় মোট ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আদালতের এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।”

আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক।

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০১:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

স্ত্রী নির্যাতনের দায়ে স্বামীর কারাদণ্ড

প্রকাশ : ০১:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীকে দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (১৩ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ হামিদ এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়নাল দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মৃত বিরু শেখের ছেলে।

আদালত ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা শুকুর মিয়ার পাড়া গ্রামের বাতেন মণ্ডলের মেয়ে লিপি আক্তারের সঙ্গে আয়নালের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে লিপিকে চাপ দিয়ে আসছিল আয়নাল ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৮ জুন দুপুর ১২টায় আয়নাল ও তার পরিবারের সদস্যরা বাঁশের লাঠি দিয়ে লিপিকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় লিপির বাবা বাতেন মণ্ডল বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মুহাম্মদ মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, “এ মামলায় মোট ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আদালতের এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।”

আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক।