আমেরিকায় পাঠানোর নামে প্রতারণা? মাজার খাদেমের সংবাদ সম্মেলন

তিমির বণিক, মৌলভীবাজার
আমেরিকায় পাঠানোর কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ একাধিক প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আজমল আলী সেন্টু নামে এক মাজারের খাদেম। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই সম্মেলনে তিনি শামীমুন নাহার নামের এক নারীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী আজমল আলী সেন্টু জানান, কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নের খাদিমপাড়ায় অবস্থিত শাহ কালা (র.) মাজারে খাদেম হিসেবে তিনি কর্মরত। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাজারে আসা ভক্ত-আশেকানদের সুবাদে শামীমুন নাহারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে শামীমুন নাহার ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে আমেরিকা পাঠানোর প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে সেন্টু বিভিন্ন সময়ে মোট ৭ লাখ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা পরিশোধ করেন।
তিনি বলেন, “টাকা পরিশোধের পর শামীমুন নাহার আমাকে আমেরিকা না পাঠিয়ে টালবাহানা ও কালক্ষেপণ শুরু করেন। আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে তিনি আমাকে আরও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকিও দেন তিনি।” আজমল আলী আরও জানান, পরবর্তীকালে শামীমুন নাহারের দায়ের করা রামপুরা থানার একটি মিথ্যা মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে, তবে তিনি সেই মামলা থেকে সসম্মানে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আজমল আলী সেন্টু নিজেই শামীমুন নাহারের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (সিআর মামলা নং-২৩৭/২০২২, তারিখ: ২২ মে ২০২২)। আদালতের নির্দেশে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত অভিযোগটি আমলে নেয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
আজমল আলী সেন্টু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গত ১১ আগস্ট শামীমুন নাহার একটি সংবাদ সম্মেলন করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “শামীমুন নাহার তার সাজানো সংবাদ সম্মেলনে নিজেই স্বীকার করেছেন যে তার বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মামলা রয়েছে। যার বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা, তিনি সমাজের চোখে কতটা সঠিক, তা বিচার করার ভার আমি আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমি আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে এই প্রতারণার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”