ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুড়ীতে আলোচিত চেয়ারম্যান শেলুকে গ্রেপ্তার

আজকের তরুণকণ্ঠ

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মৌলভীবাজারের জুড়ী শহরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুড়ী থানায় নিয়ে আসেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন। বিকেলে তাঁর গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

তবে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলার বাদী মো. তারেক মিয়া ও সাক্ষী আফজাল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান শেলু এই ঘটনায় জড়িত নন। তাঁরা গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেন এবং মামলায় তাঁর নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু এএসপি অনড় থাকায় দু’পক্ষের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়।

শেলুর গ্রেপ্তারে ক্ষোভ জানিয়ে তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী থানায় জড়ো হন। তাঁকে মৌলভীবাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন।

বাদী তারেক মিয়ার অভিযোগ, “হামলার মূল হোতারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে, অথচ নির্দোষদের ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ এই মামলাকে বানিজ্যের হাতিয়ার বানিয়েছে।”

অন্যদিকে এএসপি আজমল হোসেন বলেন, “তদন্তে শেলুর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে, তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারো আপত্তি থাকলে তা আদালতে বলা উচিত।”

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০৩:৫৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

জুড়ীতে আলোচিত চেয়ারম্যান শেলুকে গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ০৩:৫৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মৌলভীবাজারের জুড়ী শহরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুড়ী থানায় নিয়ে আসেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন। বিকেলে তাঁর গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

তবে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলার বাদী মো. তারেক মিয়া ও সাক্ষী আফজাল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান শেলু এই ঘটনায় জড়িত নন। তাঁরা গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেন এবং মামলায় তাঁর নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু এএসপি অনড় থাকায় দু’পক্ষের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়।

শেলুর গ্রেপ্তারে ক্ষোভ জানিয়ে তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী থানায় জড়ো হন। তাঁকে মৌলভীবাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন।

বাদী তারেক মিয়ার অভিযোগ, “হামলার মূল হোতারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে, অথচ নির্দোষদের ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ এই মামলাকে বানিজ্যের হাতিয়ার বানিয়েছে।”

অন্যদিকে এএসপি আজমল হোসেন বলেন, “তদন্তে শেলুর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে, তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারো আপত্তি থাকলে তা আদালতে বলা উচিত।”