ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবি: ৬৮ অভিবাসীর মৃত্যু, নিখোঁজ আরও ৭০

আজকের তরুণকণ্ঠ

ইয়েমেন উপকূলে অভিবাসী ও শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৬৮ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭০ জনের বেশি যাত্রী। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (IOM) জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ১৫৪ জন ইথিওপীয় নাগরিক ছিলেন।

আইওএম-এর ইয়েমেন শাখার প্রধান আবদুসাত্তার এসোয়েভ জানান, নৌকাটি ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশের উপকূলে ডুবে যায়। এ পর্যন্ত মাত্র ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খানফার জেলা থেকে ৫৪ জনের এবং অন্য একটি এলাকা থেকে আরও ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জাঞ্জিবার শহরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল কাদের বাজামিল বলেন, “নিহতদের দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

আফ্রিকার শিং (Horn of Africa) খ্যাত অঞ্চল থেকে ইয়েমেন হয়ে উপসাগরীয় ধনী দেশগুলোতে যাওয়ার এই সমুদ্রপথটি অভিবাসীদের জন্য একটি সাধারণ রুট হলেও এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার মতো সংঘাতপূর্ণ দেশ থেকে হাজারো মানুষ উন্নত জীবনের আশায় এই ঝুঁকিপূর্ণ পথে পাড়ি জমান। আইওএম-এর মতে, এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ একটি অভিবাসন রুট।

যদিও ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ চলছে, তবুও দেশটি অভিবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট। ২০২২ সালের এপ্রিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর সহিংসতা কিছুটা কমলেও মানবিক সংকট এখনো তীব্র।

আইওএম-এর তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি অভিবাসী ইয়েমেনে পৌঁছেছেন। তবে এই যাত্রাপথের ঝুঁকিও ভয়াবহ। গত বছরই (২০২৩) এই রুটে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫৮ জন। গত এক দশকে কমপক্ষে ২,০৮২ জন নিখোঁজ হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৯৩ জনের ডুবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই নতুন দুর্ঘটনা সেই মর্মান্তিক তালিকায় আরও একটি সংযোজন।

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০৪:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবি: ৬৮ অভিবাসীর মৃত্যু, নিখোঁজ আরও ৭০

প্রকাশ : ০৪:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

ইয়েমেন উপকূলে অভিবাসী ও শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৬৮ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭০ জনের বেশি যাত্রী। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (IOM) জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ১৫৪ জন ইথিওপীয় নাগরিক ছিলেন।

আইওএম-এর ইয়েমেন শাখার প্রধান আবদুসাত্তার এসোয়েভ জানান, নৌকাটি ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশের উপকূলে ডুবে যায়। এ পর্যন্ত মাত্র ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খানফার জেলা থেকে ৫৪ জনের এবং অন্য একটি এলাকা থেকে আরও ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জাঞ্জিবার শহরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল কাদের বাজামিল বলেন, “নিহতদের দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

আফ্রিকার শিং (Horn of Africa) খ্যাত অঞ্চল থেকে ইয়েমেন হয়ে উপসাগরীয় ধনী দেশগুলোতে যাওয়ার এই সমুদ্রপথটি অভিবাসীদের জন্য একটি সাধারণ রুট হলেও এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার মতো সংঘাতপূর্ণ দেশ থেকে হাজারো মানুষ উন্নত জীবনের আশায় এই ঝুঁকিপূর্ণ পথে পাড়ি জমান। আইওএম-এর মতে, এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ একটি অভিবাসন রুট।

যদিও ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ চলছে, তবুও দেশটি অভিবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট। ২০২২ সালের এপ্রিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর সহিংসতা কিছুটা কমলেও মানবিক সংকট এখনো তীব্র।

আইওএম-এর তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি অভিবাসী ইয়েমেনে পৌঁছেছেন। তবে এই যাত্রাপথের ঝুঁকিও ভয়াবহ। গত বছরই (২০২৩) এই রুটে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫৮ জন। গত এক দশকে কমপক্ষে ২,০৮২ জন নিখোঁজ হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৯৩ জনের ডুবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই নতুন দুর্ঘটনা সেই মর্মান্তিক তালিকায় আরও একটি সংযোজন।