স্কুল শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনা: অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক, মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন অনুপস্থিত

মো. কামরুল হোসেন সুমন, মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার মনপুরায় স্কুল শিক্ষিকা হাসনা বেগমকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক মো. শামীম। একইসাথে তিনি তার কর্মস্থল চরফৈজুদ্দিন ফকিরহাট দাখিল মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মো. শামীম চরফৈজুদ্দিন ফকিরহাট দাখিল মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষিকা হাসনা বেগম হামলা ও মারধরের অভিযোগে মামলা করার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং কর্মস্থলে আসা বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় চরফৈজুদ্দিন ফকিরহাট দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. সিহাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিক্ষক শামীম তার প্রাপ্য সকল ছুটি ইতোমধ্যে ভোগ করেছেন। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নীতিমালা অনুযায়ী তার আর কোনো ছুটি অবশিষ্ট নেই।
মাদ্রাসার সুপার বলেন, “শিক্ষক মো. শামীম তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার ঝামেলার কারণে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার নামে বরাদ্দকৃত সমস্ত ছুটি শেষ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত অনুপস্থিতির কারণে বর্তমানে তার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে।” সুপারের এমন স্বচ্ছ ও বলিষ্ঠ অবস্থান প্রতিষ্ঠানটির সুশাসনেরই পরিচায়ক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক মো. শামীমের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
শিক্ষক শামীমের দীর্ঘ অনুপস্থিতির বিষয়ে মনপুরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সুপারের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, চরফৈজুদ্দিন ফকিরহাট দাখিল মাদ্রাসাটি এলাকায় একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত এবং এর সুপার মো. সিহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।