ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুপচাঁচিয়ায় জন্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা

আজকের তরুণকণ্ঠ

মো. আনিছুর রহমান, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি।

মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন বা জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। [৫, ৬] আজ শনিবার, ১৬ই আগস্ট, সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, দুপচাঁচিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক উৎসবের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

দুপচাঁচিয়া মহাশ্মশান কালীবাড়িতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী অসীম কুমার দাস। তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শাহরুখ খান এবং থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব ফরিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এদের মধ্যে ছিলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি কে এম মনিরুল ইসলাম খান (স্বপন), সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জনাব আফসার আলী, বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস আলী মহলদার (মানিক), সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন এবং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন (মল্লিক)।

এছাড়াও, বিশিষ্ট শিল্পপতি দ্বিজেন্দ্রনাথ বসাক মন্টু এবং পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি বিপুল কুমার ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল বসাকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও অগণিত ভক্ত-অনুরাগীর উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরও মহিমান্বিত করে তোলে।

আলোচনা সভায় দুপচাঁচিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি কে এম মনিরুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে বলেন, “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার”। তিনি উপজেলা বিএনপি এবং দেশনায়েক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলকে জন্মাষ্টমীর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

আলোচনা পর্ব শেষে এক বিশাল মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মহাশ্মশান কালীবাড়িতে এসে শেষ হয়। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে, ভক্তদের উলুধ্বনি ও কৃষ্ণনামের কীর্তনে মুখরিত এই শোভাযাত্রা পুরো এলাকায় এক উৎসবমুখর ও আধ্যাত্মিক পরিবেশের সৃষ্টি করে।

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০৩:২৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

দুপচাঁচিয়ায় জন্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা

প্রকাশ : ০৩:২৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

মো. আনিছুর রহমান, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি।

মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন বা জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। [৫, ৬] আজ শনিবার, ১৬ই আগস্ট, সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, দুপচাঁচিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক উৎসবের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

দুপচাঁচিয়া মহাশ্মশান কালীবাড়িতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী অসীম কুমার দাস। তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শাহরুখ খান এবং থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব ফরিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এদের মধ্যে ছিলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি কে এম মনিরুল ইসলাম খান (স্বপন), সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জনাব আফসার আলী, বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস আলী মহলদার (মানিক), সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন এবং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন (মল্লিক)।

এছাড়াও, বিশিষ্ট শিল্পপতি দ্বিজেন্দ্রনাথ বসাক মন্টু এবং পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি বিপুল কুমার ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল বসাকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও অগণিত ভক্ত-অনুরাগীর উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরও মহিমান্বিত করে তোলে।

আলোচনা সভায় দুপচাঁচিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি কে এম মনিরুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে বলেন, “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার”। তিনি উপজেলা বিএনপি এবং দেশনায়েক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলকে জন্মাষ্টমীর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

আলোচনা পর্ব শেষে এক বিশাল মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মহাশ্মশান কালীবাড়িতে এসে শেষ হয়। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে, ভক্তদের উলুধ্বনি ও কৃষ্ণনামের কীর্তনে মুখরিত এই শোভাযাত্রা পুরো এলাকায় এক উৎসবমুখর ও আধ্যাত্মিক পরিবেশের সৃষ্টি করে।