ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার দুদকের আরও দুই মামলা

আজকের তরুণকণ্ঠ

আবুবকর ছিদ্দীক, বান্দরবান:

সাড়ে ১২ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ব্যাংকে প্রায় ৭৪ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং তার স্ত্রী মে হ্লা প্রূর বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করেছে কক্সবাজার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুই কর্মকর্তা বাদী হয়ে পৃথক মামলা দুটি দায়ের করেন। দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ এ মামলা দুটি লিপিবদ্ধ করেন।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২), ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা দুটি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

পৃথক দুটি মামলায় সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং তার স্ত্রী মে হ্লা প্রূর বিরুদ্ধে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৩৯ টাকা। একই সঙ্গে দুজনের নামের বিভিন্ন ব্যাংকের ১৯টি হিসাব নম্বরের বিপরীতে ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৪ হাজার ৬৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন দেখানো হয়েছে।

মামলা এজাহার সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নারগিস সুলতানা।

ওই মামলায় বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের বিরুদ্ধে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দেখানো হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৪ টাকা। একই সঙ্গে তার নামের বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি হিসাব নম্বরের বিপরীতে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন দেখানো হয়েছে।

মামলা এজাহার সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নারগিস সুলতানা।

ওই মামলায় বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের বিরুদ্ধে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দেখানো হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৪ টাকা। একই সঙ্গে তার নামের বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি হিসাব নম্বরের বিপরীতে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন দেখানো হয়েছে।

তার স্ত্রী মে হ্লা প্রূর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালন নিজাম উদ্দিন।

ওই মামলায় মে হ্লা প্রূর বিরুদ্ধে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫ টাকার। একই সঙ্গে তার নামের বিভিন্ন ব্যাংকের ৬টি হিসাব নম্বরের বিপরীতে ১৫ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ১৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন দেখানো হয়েছে।

উভয় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত আয়কর রিটার্ন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা এবং আইনজীবীর লিখিত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এসব তথ্য মিলেছে।

এর আগে ৩ আগস্ট প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৭৪ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে ঢাকায় বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং তার স্ত্রী মে হ্লা প্রূর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক।

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০৫:০৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার দুদকের আরও দুই মামলা

প্রকাশ : ০৫:০৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

আবুবকর ছিদ্দীক, বান্দরবান:

সাড়ে ১২ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ব্যাংকে প্রায় ৭৪ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং তার স্ত্রী মে হ্লা প্রূর বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করেছে কক্সবাজার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুই কর্মকর্তা বাদী হয়ে পৃথক মামলা দুটি দায়ের করেন। দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ এ মামলা দুটি লিপিবদ্ধ করেন।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২), ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা দুটি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

পৃথক দুটি মামলায় সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং তার স্ত্রী মে হ্লা প্রূর বিরুদ্ধে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৩৯ টাকা। একই সঙ্গে দুজনের নামের বিভিন্ন ব্যাংকের ১৯টি হিসাব নম্বরের বিপরীতে ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৪ হাজার ৬৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন দেখানো হয়েছে।

মামলা এজাহার সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নারগিস সুলতানা।

ওই মামলায় বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের বিরুদ্ধে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দেখানো হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৪ টাকা। একই সঙ্গে তার নামের বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি হিসাব নম্বরের বিপরীতে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন দেখানো হয়েছে।

মামলা এজাহার সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নারগিস সুলতানা।

ওই মামলায় বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের বিরুদ্ধে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দেখানো হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৪ টাকা। একই সঙ্গে তার নামের বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি হিসাব নম্বরের বিপরীতে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন দেখানো হয়েছে।

তার স্ত্রী মে হ্লা প্রূর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালন নিজাম উদ্দিন।

ওই মামলায় মে হ্লা প্রূর বিরুদ্ধে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫ টাকার। একই সঙ্গে তার নামের বিভিন্ন ব্যাংকের ৬টি হিসাব নম্বরের বিপরীতে ১৫ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ১৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন দেখানো হয়েছে।

উভয় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত আয়কর রিটার্ন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা এবং আইনজীবীর লিখিত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এসব তথ্য মিলেছে।

এর আগে ৩ আগস্ট প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৭৪ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে ঢাকায় বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং তার স্ত্রী মে হ্লা প্রূর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক।