ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী

আজকের তরুণকণ্ঠ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক:

এক দশকের বেশি সময় ধরে শীতল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে এ মাসের শেষ দিকে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের দুই শীর্ষ মন্ত্রী। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের পাশাপাশি বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানও ঢাকা সফর করবেন। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কূটনৈতিক সূত্রমতে, গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রায় দেড় দশকের শীতল সম্পর্ক উষ্ণ করার লক্ষ্যে এর আগে গত এপ্রিলে ঢাকায় এসেছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার উচ্চ পর্যায়ের এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

আগামী ২৩ আগস্ট দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছাবেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ২৪ আগস্ট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ সময় পর এটিই হবে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।

এই সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ একাধিক বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের চুক্তি অন্যতম। এছাড়া, কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তিটিও চূড়ান্ত হতে পারে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ২১ আগস্ট চার দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। তার সফরের মূল উদ্দেশ্য থাকবে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে বাণিজ্যবিষয়ক একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে, যার নেতৃত্বে থাকবেন দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবেরা।

এই দুই সফরের পর পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেবেরও ঢাকা সফরের পরিকল্পনা রয়েছে। সবশেষ ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে অংশ নিতে তিনি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে ঢাকায় আসতে পারেন।

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো অস্বাভাবিক পথ নিচ্ছি না। অন্য অনেক দেশের মতো স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছি। ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানুষের চলাচল সহজ করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের কোনো প্রয়োজন নেই। অতীতে অকারণে যে বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, তা থেকে আমরা সরে এসেছি। তবে অমীমাংসিত তিনটি বিষয় আলোচনার টেবিলে থাকবে।”

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ১০:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ১০:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

কূটনৈতিক প্রতিবেদক:

এক দশকের বেশি সময় ধরে শীতল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে এ মাসের শেষ দিকে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের দুই শীর্ষ মন্ত্রী। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের পাশাপাশি বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানও ঢাকা সফর করবেন। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কূটনৈতিক সূত্রমতে, গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রায় দেড় দশকের শীতল সম্পর্ক উষ্ণ করার লক্ষ্যে এর আগে গত এপ্রিলে ঢাকায় এসেছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার উচ্চ পর্যায়ের এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

আগামী ২৩ আগস্ট দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছাবেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ২৪ আগস্ট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ সময় পর এটিই হবে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।

এই সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ একাধিক বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের চুক্তি অন্যতম। এছাড়া, কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তিটিও চূড়ান্ত হতে পারে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ২১ আগস্ট চার দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। তার সফরের মূল উদ্দেশ্য থাকবে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে বাণিজ্যবিষয়ক একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে, যার নেতৃত্বে থাকবেন দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবেরা।

এই দুই সফরের পর পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেবেরও ঢাকা সফরের পরিকল্পনা রয়েছে। সবশেষ ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে অংশ নিতে তিনি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে ঢাকায় আসতে পারেন।

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো অস্বাভাবিক পথ নিচ্ছি না। অন্য অনেক দেশের মতো স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছি। ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানুষের চলাচল সহজ করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের কোনো প্রয়োজন নেই। অতীতে অকারণে যে বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, তা থেকে আমরা সরে এসেছি। তবে অমীমাংসিত তিনটি বিষয় আলোচনার টেবিলে থাকবে।”