ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুল চলাকালীন সিলিং ফ্যান পড়ে এক ছাত্রী আহত

আজকের তরুণকণ্ঠ

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে হঠাৎ করে সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে আফরোজা আক্তার (১৫) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী আহত হয়েছে। রবিবার (২৪শে আগস্ট) সকালে এ ঘটনাটি ঘটে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় দেবনাথ জানান, সকাল পৌনে ১১টার দিকে অষ্টম শ্রেণির গণিত ক্লাস চলাকালে হঠাৎ একটি বিকট শব্দে ফ্যানটি নিচে পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। ফ্যানের ব্লেডে আঘাত পেয়ে ছাত্রী আফরোজার নাক কেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলী বলেন, “ভবনটি আগে একতলা ছিল। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) মাধ্যমে ২০২৩ সালে এটি তিনতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়। সে সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যান বসায়। সম্ভবত নাট-বোল্ট ঢিলা বা ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে ফ্যানটি পড়ে যায়। যদি শিক্ষার্থীর মাথায় পড়ত, তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ইতোমধ্যে ভবনের সব ফ্যান পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে।”

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০১:০৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

স্কুল চলাকালীন সিলিং ফ্যান পড়ে এক ছাত্রী আহত

প্রকাশ : ০১:০৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে হঠাৎ করে সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে আফরোজা আক্তার (১৫) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী আহত হয়েছে। রবিবার (২৪শে আগস্ট) সকালে এ ঘটনাটি ঘটে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় দেবনাথ জানান, সকাল পৌনে ১১টার দিকে অষ্টম শ্রেণির গণিত ক্লাস চলাকালে হঠাৎ একটি বিকট শব্দে ফ্যানটি নিচে পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। ফ্যানের ব্লেডে আঘাত পেয়ে ছাত্রী আফরোজার নাক কেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলী বলেন, “ভবনটি আগে একতলা ছিল। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) মাধ্যমে ২০২৩ সালে এটি তিনতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়। সে সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যান বসায়। সম্ভবত নাট-বোল্ট ঢিলা বা ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে ফ্যানটি পড়ে যায়। যদি শিক্ষার্থীর মাথায় পড়ত, তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ইতোমধ্যে ভবনের সব ফ্যান পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে।”