ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জে কলা উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা!

আজকের তরুণকণ্ঠ

সাকিব আহসান,  পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় এ বছর কলা উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। পীরগঞ্জ উপজেলায় মোট ৬৫ হেক্টর জমিতে কলা আবাদ করা হয়েছে। কৃষি খাতের এই অগ্রগতি স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। উপজেলার ১নং ভোমরাদহ, ২নং কোষারাণীগঞ্জ, ৭নং হাজীপুর ও ৯নং সেনগাঁও ইউনিয়নসহ অন্যান্য ইউনিয়নে এবার কলার উল্লেখযোগ্য ফলন হয়েছে। বাগান থেকেই আড়তদাররা ১০০ কাঁদি কলা প্রায় ৩৫ হাজার টাকায় ক্রয় করছেন, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক দাম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

চাষী ইয়াকুব আলী জানান, “আমি তিন বিঘা জমিতে কলা আবাদ করেছি এবং এ থেকে ভালো লাভবান হচ্ছি।” তাঁর মতে, কলা চাষ তুলনামূলক সহজ এবং সঠিক যত্ন নিলে স্বল্প সময়ে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়। স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও পীরগঞ্জের কলা যাচ্ছে, যা কৃষকদের আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, “কলা আবাদে সম্ভাবনার যে দ্বার উন্মোচিত হয়েছে; কৃষকদের এই প্রচেষ্টা ও প্রয়াসকে বেগবান করতে আমরা সর্বপ্রকার সহযোগিতা প্রদান করব।”

কৃষিবিদ ওয়াকিলুজ্জামান বলেন, “পরিকল্পিতভাবে কলা আবাদ সম্প্রসারণ করলে এটি শুধু কৃষকদের আর্থিক সমৃদ্ধিই আনবে না, বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সঠিক সরকারি উদ্যোগ, কৃষিঋণ সুবিধা এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ পীরগঞ্জকে কলা উৎপাদনের একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।”

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০৪:৩৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

পীরগঞ্জে কলা উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা!

প্রকাশ : ০৪:৩৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

সাকিব আহসান,  পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় এ বছর কলা উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। পীরগঞ্জ উপজেলায় মোট ৬৫ হেক্টর জমিতে কলা আবাদ করা হয়েছে। কৃষি খাতের এই অগ্রগতি স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। উপজেলার ১নং ভোমরাদহ, ২নং কোষারাণীগঞ্জ, ৭নং হাজীপুর ও ৯নং সেনগাঁও ইউনিয়নসহ অন্যান্য ইউনিয়নে এবার কলার উল্লেখযোগ্য ফলন হয়েছে। বাগান থেকেই আড়তদাররা ১০০ কাঁদি কলা প্রায় ৩৫ হাজার টাকায় ক্রয় করছেন, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক দাম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

চাষী ইয়াকুব আলী জানান, “আমি তিন বিঘা জমিতে কলা আবাদ করেছি এবং এ থেকে ভালো লাভবান হচ্ছি।” তাঁর মতে, কলা চাষ তুলনামূলক সহজ এবং সঠিক যত্ন নিলে স্বল্প সময়ে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়। স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও পীরগঞ্জের কলা যাচ্ছে, যা কৃষকদের আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, “কলা আবাদে সম্ভাবনার যে দ্বার উন্মোচিত হয়েছে; কৃষকদের এই প্রচেষ্টা ও প্রয়াসকে বেগবান করতে আমরা সর্বপ্রকার সহযোগিতা প্রদান করব।”

কৃষিবিদ ওয়াকিলুজ্জামান বলেন, “পরিকল্পিতভাবে কলা আবাদ সম্প্রসারণ করলে এটি শুধু কৃষকদের আর্থিক সমৃদ্ধিই আনবে না, বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সঠিক সরকারি উদ্যোগ, কৃষিঋণ সুবিধা এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ পীরগঞ্জকে কলা উৎপাদনের একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।”