ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা: যুবলীগ নেতাসহ দম্পতি গ্রেপ্তার

আজকের তরুণকণ্ঠ

গত বছরের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শফিকুল ইসলাম সোহাগ (৪৮) এবং তার স্ত্রী শিরিন আক্তার মুক্তা (৩৭)। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই, ২০২৫) রাত ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের টিনপট্টি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল ইসলাম সোহাগ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি জেলা যুবলীগেরও একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তার স্ত্রী শিরিন আক্তার মুক্তা জেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী। এই দম্পতি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সহিংসতা ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট, ২০২৫) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেশব্যাপী কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানিকগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শফিকুল ইসলাম সোহাগ ৫২ নম্বর এবং শিরিন আক্তার মুক্তা ৫৩ নম্বর আসামি।

গত বছরের ১৮ই জুলাই মানিকগঞ্জে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র, পাইপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হন।

এই হামলার ঘটনায় প্রায় দেড় মাস পর মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতার নাম উল্লেখ করা হয়।

এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় মানিকগঞ্জে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০২:০১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

মানিকগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা: যুবলীগ নেতাসহ দম্পতি গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ০২:০১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

গত বছরের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শফিকুল ইসলাম সোহাগ (৪৮) এবং তার স্ত্রী শিরিন আক্তার মুক্তা (৩৭)। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই, ২০২৫) রাত ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের টিনপট্টি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল ইসলাম সোহাগ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি জেলা যুবলীগেরও একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তার স্ত্রী শিরিন আক্তার মুক্তা জেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী। এই দম্পতি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সহিংসতা ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট, ২০২৫) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেশব্যাপী কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানিকগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শফিকুল ইসলাম সোহাগ ৫২ নম্বর এবং শিরিন আক্তার মুক্তা ৫৩ নম্বর আসামি।

গত বছরের ১৮ই জুলাই মানিকগঞ্জে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র, পাইপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হন।

এই হামলার ঘটনায় প্রায় দেড় মাস পর মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতার নাম উল্লেখ করা হয়।

এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় মানিকগঞ্জে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।