নাগরপুরে কাজী আবু বকর সিদ্দিককে ফাঁসানোর চেষ্টা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের মুসলিম ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, ফ্যাসিবাদী আমলে বারবার কারানির্যাতিত ‘কাজী মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক খান’-কে ফাঁসানোর জন্য বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, কাজী আবু বকর সিদ্দিক পাকুটিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে নিজ এলাকায় এসে তিনি মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সামাজিক কাজ করে আসছেন। ব্যক্তিগত অর্থায়নে মানবসেবায় তিনি অত্যন্ত তৎপর। বৃহৎ পরিসরে জনসেবায় সম্পৃক্ত হওয়ার ইচ্ছায় দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুর্দিনে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। বছরখানেক আগে গ্রামবাসীর দাবির মুখে তিনি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাঁর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে একটি সুবিধাবাদী মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অসত্য তথ্য দিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ন্যূনতম সম্পর্ক না থাকা একটি ঘটনায় তাঁকে জড়িয়ে আবারও অসত্য সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার এক লিখিত প্রতিবাদলিপিতে কাজী আবু বকর সিদ্দিক খান বলেন, “সম্প্রতি ‘দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ’ পত্রিকায় ‘পাকুটিয়ায় কনের পিত্রালয়ে গোপনে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন’ এবং ‘খবর বাংলা’ নামক অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘নাগরপুরে ১৫ বছরের কিশোরীর গোপন বিয়ে, এলাকায় চাঞ্চল্য!’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমাকে জড়িয়ে যেভাবে বিয়েটি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি উক্ত বিয়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই জড়িত নই। এরূপ কোনো বিয়ে আমার কার্যালয়ে রেজিস্ট্রি হয়নি। প্রতিবেদনগুলোর একাংশে বলা হয়েছে যে, আমি বয়স যাচাই না করে দায়িত্ব পালন করেছি, যা আমার দীর্ঘদিনের পেশাগত সততা ও দায়িত্ববোধের প্রতি আঘাত। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই—কোনো বিয়ে রেজিস্ট্রি করার পূর্বে আমি জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদ এবং অভিভাবকের সম্মতি যাচাই না করে নিবন্ধন করি না।
এখানে সংবাদদাতারা কোনো মহলের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার কোনো বক্তব্য ছাড়াই একপেশে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমার মানহানির অপচেষ্টা করেছেন। এটি সংবাদপত্রের নীতিমালাপরিপন্থী এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আইন অনুযায়ী একটি বিচারযোগ্য অপরাধ। অথচ অনুসন্ধানে জানা গেছে, উক্ত বিয়েটি টাঙ্গাইল জজ কোর্টে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে, যা সম্পূর্ণ আমার এখতিয়ারবহির্ভূত।
এ ধরনের বিয়ে নোটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হলে তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও নোটারি কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়, কোনোক্রমেই ইউনিয়নের কাজীর ওপর নয়। কেবলমাত্র রাজনৈতিকভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এমন সংবাদ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”