ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্মদিবসেও মনপুরায় অধিকাংশ সরকারি অফিস বন্ধ, প্রশাসনিক নজরদারির দাবি

আজকের তরুণকণ্ঠ

মনপুরা প্রতিনিধি:

কর্মদিবসেও ভোলার মনপুরার সরকারি অফিসগুলোতে বিরাজ করছে ছুটির আমেজ। দু-একটি দপ্তর খোলা থাকলেও সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ অফিসেই তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এমনকি কিছু সরকারি দপ্তরে জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়নি। গত ১৩ জুলাই, বেলা ১১টায় স্থানীয় সাংবাদিকদের ক্যামেরায় এমন নানা অসংগতির চিত্র ফুটে ওঠে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলা মৎস্য অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, নির্বাচন অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস, পরিবার পরিকল্পনা অফিস এবং পশু হাসপাতাল খোলা থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। এছাড়া বাকি সব সরকারি দপ্তরই বন্ধ ছিল।

কিছু কিছু অফিসপ্রধান মনপুরায় ‘অতিরিক্ত দায়িত্ব’ পালনের অজুহাত দেখিয়ে দায় সারার চেষ্টা করছেন। যদিও চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী, অতিরিক্ত দায়িত্ব অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই এবং এই দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার থেকে ভাতাও প্রদান করা হয়। এরপরেও মনপুরাবাসীকে নিয়মিতই সরকারি অফিস বন্ধ থাকার চিত্র দেখতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে মনপুরা নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মনপুরায় প্রায়ই এভাবে সরকারি অফিস বন্ধ থাকে। এখানকার কর্মকর্তারা দ্বীপ ভাতা পাওয়ার পরও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এই অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রশাসনিক নজরদারির জোর দাবি জানাচ্ছি।” সাধারণ মানুষের মধ্যেও সরকারি সেবা না পাওয়া নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, “মনপুরায় অনেক দপ্তরেই কর্মকর্তারা অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। তবে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অফিস অবশ্যই খোলা রাখতে হবে। কোনো দপ্তর বন্ধ থাকলে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন।”

উল্লেখ্য, ভোলার মনপুরা একটি দ্বীপ অঞ্চল হওয়ায় এখানকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশেষ দ্বীপ ভাতা পেয়ে থাকেন। এরপরেও তাদের কর্মস্থল ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০৯:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

কর্মদিবসেও মনপুরায় অধিকাংশ সরকারি অফিস বন্ধ, প্রশাসনিক নজরদারির দাবি

প্রকাশ : ০৯:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

মনপুরা প্রতিনিধি:

কর্মদিবসেও ভোলার মনপুরার সরকারি অফিসগুলোতে বিরাজ করছে ছুটির আমেজ। দু-একটি দপ্তর খোলা থাকলেও সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ অফিসেই তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এমনকি কিছু সরকারি দপ্তরে জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়নি। গত ১৩ জুলাই, বেলা ১১টায় স্থানীয় সাংবাদিকদের ক্যামেরায় এমন নানা অসংগতির চিত্র ফুটে ওঠে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলা মৎস্য অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, নির্বাচন অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস, পরিবার পরিকল্পনা অফিস এবং পশু হাসপাতাল খোলা থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। এছাড়া বাকি সব সরকারি দপ্তরই বন্ধ ছিল।

কিছু কিছু অফিসপ্রধান মনপুরায় ‘অতিরিক্ত দায়িত্ব’ পালনের অজুহাত দেখিয়ে দায় সারার চেষ্টা করছেন। যদিও চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী, অতিরিক্ত দায়িত্ব অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই এবং এই দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার থেকে ভাতাও প্রদান করা হয়। এরপরেও মনপুরাবাসীকে নিয়মিতই সরকারি অফিস বন্ধ থাকার চিত্র দেখতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে মনপুরা নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মনপুরায় প্রায়ই এভাবে সরকারি অফিস বন্ধ থাকে। এখানকার কর্মকর্তারা দ্বীপ ভাতা পাওয়ার পরও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এই অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রশাসনিক নজরদারির জোর দাবি জানাচ্ছি।” সাধারণ মানুষের মধ্যেও সরকারি সেবা না পাওয়া নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, “মনপুরায় অনেক দপ্তরেই কর্মকর্তারা অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। তবে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অফিস অবশ্যই খোলা রাখতে হবে। কোনো দপ্তর বন্ধ থাকলে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন।”

উল্লেখ্য, ভোলার মনপুরা একটি দ্বীপ অঞ্চল হওয়ায় এখানকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশেষ দ্বীপ ভাতা পেয়ে থাকেন। এরপরেও তাদের কর্মস্থল ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।