ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামী কয়জন, মমতাজকে জিজ্ঞাসা করলেন পিপি

আজকের তরুণকণ্ঠ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মো. সাগর নামে একজনকে গুলি করে হত্যার মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৭ মে) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। শুনানিকালে পিপি জানতে চান, ‘মমতাজের স্বামী কয়জন, নাম কী?’

এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় মমতাজের পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদুর রহমান লিংকন জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে তিনি বলেন, ‘মামলার ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবে জড়িত নন। তিনি এজাহারভুক্ত আসামি, কিন্তু তার বিরুদ্ধে সুনির্দষ্টি কোনো অভিযোগ নাই। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, তার জামিনের প্রার্থনা করছি।’

রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘মমতাজ বেগম সাধারণ রাস্তা থেকে পার্লামেন্টে গিয়ে পৌঁছেছেন। পার্লামেন্টের মতো পবিত্র জায়গায় গানের জলসা বসাতেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক বক্তব্য দিতেন। সংসদকে কলুষিত, কলঙ্কিত করেছেন। সংসদে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার বাপের নাম জানতে চান। বলেন তো, আপনার বাপের নাম কী, স্বামী কয়জন। স্বামীর নাম কী?’

এসময় বিচারক তাকে থামিয়ে দিয়ে মামলার বিষয়ে কথা বলতে বলেন। পরে শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ১২ মে রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ মে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০৭:০০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

স্বামী কয়জন, মমতাজকে জিজ্ঞাসা করলেন পিপি

প্রকাশ : ০৭:০০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মো. সাগর নামে একজনকে গুলি করে হত্যার মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৭ মে) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। শুনানিকালে পিপি জানতে চান, ‘মমতাজের স্বামী কয়জন, নাম কী?’

এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় মমতাজের পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদুর রহমান লিংকন জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে তিনি বলেন, ‘মামলার ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবে জড়িত নন। তিনি এজাহারভুক্ত আসামি, কিন্তু তার বিরুদ্ধে সুনির্দষ্টি কোনো অভিযোগ নাই। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, তার জামিনের প্রার্থনা করছি।’

রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘মমতাজ বেগম সাধারণ রাস্তা থেকে পার্লামেন্টে গিয়ে পৌঁছেছেন। পার্লামেন্টের মতো পবিত্র জায়গায় গানের জলসা বসাতেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক বক্তব্য দিতেন। সংসদকে কলুষিত, কলঙ্কিত করেছেন। সংসদে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার বাপের নাম জানতে চান। বলেন তো, আপনার বাপের নাম কী, স্বামী কয়জন। স্বামীর নাম কী?’

এসময় বিচারক তাকে থামিয়ে দিয়ে মামলার বিষয়ে কথা বলতে বলেন। পরে শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ১২ মে রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ মে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।