মনপুরায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগ

মো. কামরুল হোসেন সুমন, মনপুরা:
ভোলা জেলার মনপুরায় সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিজের বাবার জমি রক্ষার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে জনৈক আ. রব তালুকদার সাংবাদিক মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
মোহাম্মদ মেহেদী হাসান দৈনিক বরিশাল প্রতিদিন পত্রিকার মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি এবং অনলাইন পোর্টাল সকালের শিরোনাম ও চ্যানেল ভোলার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার ২ নং হাজিরহাট ইউনিয়ন চরফৈজুদ্দিনের ৭ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মো. নাজমুল হক হাওলাদারের পুত্র।
সাংবাদিক মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় মনপুরা উপজেলা সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মনপুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মহিব্বুল্লাহ ইলিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান খান এবং বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা মনপুরা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. লোকমান খান, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, স্ব-স্ব সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং সাংবাদিক মোহাম্মদ মেহেদী হাসানকে হয়রানি না করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। এছাড়াও মনপুরা রিপোর্টাস ক্লাবের সদস্য সচিব, জাতীয় দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকা, জাতীয় দৈনিক স্বাধীন ভাষা পত্রিকার মনপুরা প্রতিনিধি মো. কামরুল হোসেন (সুমন) তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, চাঁদাবাজির মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই মামলাটি প্রত্যাহার করার অনুরোধ রইল মামলাকারীদের কাছে।
জানা যায়, মনপুরা উপজেলাধীন চরফৈজুদ্দিন গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের পুত্র নাজমুল হক হাওলাদার গং এবং মৃত মফিজুর রহমান পাটোয়ারীর পুত্র মুসলিম গং-এর বন্দোবস্তীয় মালিকানাধীন অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের জমি ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে ২০০৮ সাল থেকে মৃত সুলতান আহমদের পুত্র আ. রব তালুকদার ও তার দুই ছেলে ফরিদ উদ্দিন ও শহিদ আলম প্রকাশ্য দিবালোকে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা চালায়।
এছাড়াও ৪/২০০৮ সাল থেকে মো. নাজমুল হক এবং চরফৈজুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা মৃত মফিজুর রহমান পাটোয়ারীর পুত্র মুসলিমের নামে ২০০৫-০৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেড় একর করে বন্দোবস্তকৃত ৩ একর জমির বিরুদ্ধে ৪/২০০৮ সালে আ. রব তালুকদার বাদী হয়ে দেওয়ানী কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মো. নাজমুল হক এবং মুসলিমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত দেওয়ানী মামলায় আ. রব তালুকদারের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ১৫-০৪-২০১৪ সালে বাদীর মামলা খারিজ করে দেয় দেওয়ানী কোর্ট।
অতঃপর আ. রব তালুকদার তার ১৫/০৪/২০১৪ তারিখে খারিজকৃত মামলাটি দেওয়ানী কোর্টে দেওয়ানী আপিল নং ১৭/১৪ পুনরায় আপিল রুজু করেন। অত্র দেওয়ানী আপিলটি আদেশ হলো যে ১৭/১৪ নং মোকদ্দমাটি দোতরফা শুনানি অন্তে নামঞ্জুর করেন। এরপর মনপুরা জজ আদালতে দেওয়ানী ৪/৮ নং মোকদ্দমা বিগত ১৫/০৪/২০১৪ ইং তারিখের রায় এবং বিগত ২২/০৪/২০১৪ তারিখের স্বাক্ষরিত ডিক্রি বহাল ও বলবৎ রাখে।
গত ০৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখে নাজমুল হক এবং মুসলিমের সরকার কর্তৃক নেওয়া বন্দোবস্ত জমিতে পুনরায় জোরপূর্বকভাবে চাষাবাদ করার চেষ্টা করে আ. রব তালুকদার এবং তার দুই ছেলে ফরিদ উদ্দিন ও শহিদ আলম। বন্দোবস্তকৃত মালিক পক্ষের মো. নাজমুল হক হাওলাদারের পুত্র সাংবাদিক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান সেই জমিতে চাষাবাদ বন্ধ করে ট্রাক্টর উঠিয়ে দেওয়ার কারণে সাংবাদিক মোহাম্মদ মেহেদী হাসানকে ১ নং আসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে ১২/০৮/২০২৫ তারিখে মনপুরা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি কাল্পনিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
সাংবাদিক মেহেদী হাসান এর নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে মনপুরা প্রেসক্লাব, মনপুরা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সকল সাংবাদিক মহল।