ঢাকা ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কের মেয়র হলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেবেন মামদানি

আজকের তরুণকণ্ঠ

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্র্যাট মনোনীত প্রার্থী জোহরান মামদানি ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শহরে প্রবেশ করলেই তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেবেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মামদানি নেতানিয়াহুকে গাজায় গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত একজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন— “নেতানিয়াহু যদি নিউ ইয়র্ক সফরে আসেন, আমি পুলিশকে নির্দেশ দেব তাকে বিমানবন্দর থেকেই গ্রেপ্তার করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরোয়ানাকে সম্মান জানাতে।”

তবে মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ কার্যত অসম্ভব এবং তা কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। কিন্তু মামদানি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসবেন না। তার ভাষায়— “নিউইয়র্ক এমন একটি শহর হবে, যা আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে দাঁড়াবে। আমি সেটি নিশ্চিত করতে চাই।”

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো পক্ষভুক্ত দেশ নয় এবং আদালতের এখতিয়ারও স্বীকার করে না। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গত ফেব্রুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি আদালতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। তার দাবি ছিল—যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের ওপর এই আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই।

অন্যদিকে, নেতানিয়াহু মামদানির হুমকিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। গত জুলাইয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে তিনি বলেন—“গ্রেপ্তারের ধারণাটি বহু দিক থেকেই বোকামি। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নিউইয়র্কে যাব, তারপর দেখা যাবে”

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পরোয়ানায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ও অন্য এক শীর্ষ ইসরায়েলি কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি ও ওষুধসহ জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য উপকরণ থেকে বঞ্চিত করেছেন। মামদানির দাবি, নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে থাকাকালীনও সামরিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েল ও যুদ্ধ বিষয়ে মামদানির অবস্থানকে নিউইয়র্কবাসীরা ব্যাপকভাবে সমর্থন করছেন।

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০২:১৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিউইয়র্কের মেয়র হলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেবেন মামদানি

প্রকাশ : ০২:১৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্র্যাট মনোনীত প্রার্থী জোহরান মামদানি ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শহরে প্রবেশ করলেই তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেবেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মামদানি নেতানিয়াহুকে গাজায় গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত একজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন— “নেতানিয়াহু যদি নিউ ইয়র্ক সফরে আসেন, আমি পুলিশকে নির্দেশ দেব তাকে বিমানবন্দর থেকেই গ্রেপ্তার করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরোয়ানাকে সম্মান জানাতে।”

তবে মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ কার্যত অসম্ভব এবং তা কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। কিন্তু মামদানি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসবেন না। তার ভাষায়— “নিউইয়র্ক এমন একটি শহর হবে, যা আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে দাঁড়াবে। আমি সেটি নিশ্চিত করতে চাই।”

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো পক্ষভুক্ত দেশ নয় এবং আদালতের এখতিয়ারও স্বীকার করে না। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গত ফেব্রুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি আদালতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। তার দাবি ছিল—যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের ওপর এই আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই।

অন্যদিকে, নেতানিয়াহু মামদানির হুমকিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। গত জুলাইয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে তিনি বলেন—“গ্রেপ্তারের ধারণাটি বহু দিক থেকেই বোকামি। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নিউইয়র্কে যাব, তারপর দেখা যাবে”

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পরোয়ানায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ও অন্য এক শীর্ষ ইসরায়েলি কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি ও ওষুধসহ জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য উপকরণ থেকে বঞ্চিত করেছেন। মামদানির দাবি, নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে থাকাকালীনও সামরিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েল ও যুদ্ধ বিষয়ে মামদানির অবস্থানকে নিউইয়র্কবাসীরা ব্যাপকভাবে সমর্থন করছেন।