ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার বাচ্চারে আইনা দেও’ গলাকাটা লাশের পাশে মায়ের আহাজারি

আজকের তরুণকণ্ঠ

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

আমার বাচ্চা, আমার বাচ্চা, আমার বাচ্চা, আমার বাচ্চারে আইন্না দেও তুমরা। আমি তুমরার কাছে ভিক্ষা চাইরাম, তুমরা আমার বাচ্চারে আইন্না দেও। আমার ছেলের লাশের সাথে আমারে কাপন পরিয়ে দেও। সে আমার বড় সন্তান, ছেলে ছাড়া আমি ক্যামনে বাঁচমু…।’

এভাবেই আহাজারি করছিলেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দগ্রামের রেনু বেগম। উঠানে রাখা তাঁর বড় ছেলে লিটন মিয়ার (২৭) লাশের সামনে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। লিটনের ছিলেন দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বড়।

মঙ্গলবার (৯ই সেপ্টেম্বর) সকালে পশ্চিম নন্দগ্রামে মসজিদের পাশ থেকে লিটনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার (১০ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, স্বজনদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে আছে। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন মা রেনু বেগম। লাশের পাশে বোনের আহাজারিতেও এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণার সৃষ্টি হয়।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রের বরাতে জানায়, সকালে স্থানীয়রা প্রথম লাশটি দেখতে পান। খবর পেয়ে শমশেরনগর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় লিটন মিয়াকে। তবে হত্যার কারণ এখনো পরিষ্কার নয়।

নিহতের মামা শাহ্ আলম বলেন, “লিটন খুব ভালো ছেলে ছিল। তার মৃত্যু মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমরা তার খুনির শাস্তি চাই। পুলিশ যেন দ্রুত ঘুনিকে ধরতে পারে।”

এ সময় কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির মুঠোফোনে বলেন, নিহতের পরিবার থানায় এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০২:৩৫:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আমার বাচ্চারে আইনা দেও’ গলাকাটা লাশের পাশে মায়ের আহাজারি

প্রকাশ : ০২:৩৫:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

আমার বাচ্চা, আমার বাচ্চা, আমার বাচ্চা, আমার বাচ্চারে আইন্না দেও তুমরা। আমি তুমরার কাছে ভিক্ষা চাইরাম, তুমরা আমার বাচ্চারে আইন্না দেও। আমার ছেলের লাশের সাথে আমারে কাপন পরিয়ে দেও। সে আমার বড় সন্তান, ছেলে ছাড়া আমি ক্যামনে বাঁচমু…।’

এভাবেই আহাজারি করছিলেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দগ্রামের রেনু বেগম। উঠানে রাখা তাঁর বড় ছেলে লিটন মিয়ার (২৭) লাশের সামনে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। লিটনের ছিলেন দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বড়।

মঙ্গলবার (৯ই সেপ্টেম্বর) সকালে পশ্চিম নন্দগ্রামে মসজিদের পাশ থেকে লিটনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার (১০ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, স্বজনদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে আছে। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন মা রেনু বেগম। লাশের পাশে বোনের আহাজারিতেও এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণার সৃষ্টি হয়।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রের বরাতে জানায়, সকালে স্থানীয়রা প্রথম লাশটি দেখতে পান। খবর পেয়ে শমশেরনগর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় লিটন মিয়াকে। তবে হত্যার কারণ এখনো পরিষ্কার নয়।

নিহতের মামা শাহ্ আলম বলেন, “লিটন খুব ভালো ছেলে ছিল। তার মৃত্যু মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমরা তার খুনির শাস্তি চাই। পুলিশ যেন দ্রুত ঘুনিকে ধরতে পারে।”

এ সময় কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির মুঠোফোনে বলেন, নিহতের পরিবার থানায় এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।