ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মনপুরায় আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা

আজকের তরুণকণ্ঠ

মো. কামরুল হোসেন সুমন,মনপুরা:

ভোলার মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন দানের চারা রোপনে কাজ করছেন কৃষকেরা।আষাঢ়ের বৃষ্টির পানিতে, মনে স্বস্তি ফিরেছে রোপা আমন চাষিদের। মাঠজুড়ে আমনের ক্ষেতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও পরিচর্যায় ও রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।

আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর ) সরজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে মনপুরার প্রায় ইউনিয়ন বিভিন্ন ফসলের মাঠে।অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আমন ধানের রোপন করতে শুরু করছে কৃষকেরা। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে পানির জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। ভরা মৌসুমে আষাঢ়ের আকাশে বৃষ্টি ছিল অনেক। এতে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেনি অনেক কৃষক। তবুও থেমে থাকেনি কৃষকেরা।

মাঠ ঘুরে আরও দেখা যায়, কম-বেশি সব কৃষকের কষ্টে অর্জিত বীজ তলার চারা অনেক সুন্দর ছেয়ে গেছে। রোপা-আমন চাষে, কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কেউ ধান গাছের চারা রোপন করছেন, কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন।জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পেরে হাসি কৃষকের স্বপ্নে।

রহমানপুর,চরগোয়ালিয়া,দক্ষিণ সাকুচিয়া,উত্তর সাকুচিয়ার কয়েকটি গ্রামের কৃষক বলেন, কৃষিনির্ভর আমাদের মনপুরা উপজেলা। আমরা বর্তমানে ফসলের চারা রোপন ও রোপনের জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছি। এবার বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।

আরেক আমন চাষি বলেন, যদি কোনো দুর্যোগ, রোগ বালাই না হয় তাহলে আমনের ফলন খুব ভালো হবে। রোগ বালাই দমনে প্রতিনিয়ত কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় থেকে তদারকি করছে। আশা করছি আমিসহ কৃষকরা এবার ভালো আমন ধানের ফলন পাবে।

উপজেলা প্রতি বছরের তথ্য অনুযায়ী আনুমানিক ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।তবে এবার অনেক আমন চাষি সেচ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে না। এতে ব্যয় কমেছে অনেক কৃষকের।

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ১২:১৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মনপুরায় আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা

প্রকাশ : ১২:১৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মো. কামরুল হোসেন সুমন,মনপুরা:

ভোলার মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন দানের চারা রোপনে কাজ করছেন কৃষকেরা।আষাঢ়ের বৃষ্টির পানিতে, মনে স্বস্তি ফিরেছে রোপা আমন চাষিদের। মাঠজুড়ে আমনের ক্ষেতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও পরিচর্যায় ও রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।

আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর ) সরজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে মনপুরার প্রায় ইউনিয়ন বিভিন্ন ফসলের মাঠে।অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আমন ধানের রোপন করতে শুরু করছে কৃষকেরা। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে পানির জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। ভরা মৌসুমে আষাঢ়ের আকাশে বৃষ্টি ছিল অনেক। এতে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেনি অনেক কৃষক। তবুও থেমে থাকেনি কৃষকেরা।

মাঠ ঘুরে আরও দেখা যায়, কম-বেশি সব কৃষকের কষ্টে অর্জিত বীজ তলার চারা অনেক সুন্দর ছেয়ে গেছে। রোপা-আমন চাষে, কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কেউ ধান গাছের চারা রোপন করছেন, কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন।জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পেরে হাসি কৃষকের স্বপ্নে।

রহমানপুর,চরগোয়ালিয়া,দক্ষিণ সাকুচিয়া,উত্তর সাকুচিয়ার কয়েকটি গ্রামের কৃষক বলেন, কৃষিনির্ভর আমাদের মনপুরা উপজেলা। আমরা বর্তমানে ফসলের চারা রোপন ও রোপনের জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছি। এবার বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।

আরেক আমন চাষি বলেন, যদি কোনো দুর্যোগ, রোগ বালাই না হয় তাহলে আমনের ফলন খুব ভালো হবে। রোগ বালাই দমনে প্রতিনিয়ত কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় থেকে তদারকি করছে। আশা করছি আমিসহ কৃষকরা এবার ভালো আমন ধানের ফলন পাবে।

উপজেলা প্রতি বছরের তথ্য অনুযায়ী আনুমানিক ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।তবে এবার অনেক আমন চাষি সেচ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে না। এতে ব্যয় কমেছে অনেক কৃষকের।