ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজার-৪ আসনে নতুন সমীকরণে ৫ জন প্রার্থী

আজকের তরুণকণ্ঠ
 তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহিদ-এর একতরফা দখলে থাকা এ আসনে এবার নতুন সমীকরণে অঙ্ক কষতে হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সক্রিয় হয়ে আওয়ামী লীগের বহু বছরের নিরীহ চা বাগান শ্রমিকদের ‘দুর্গ’ ভাঙতে মাঠে নেমেছে। জানা যায়, চা-শ্রমিক অধ্যুষিত শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে গত তিন দশকে অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনে টানা জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুস শহিদ। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আব্দুস শহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাবে ভাটা নামে। বিরোধী শিবির এখন এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে শক্ত অবস্থান গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। মৌলভীবাজার-৪ আসনে বিএনপি ও জামায়াত ঐতিহ্যগতভাবে সক্রিয়। তেমনি চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতা, ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সেনাপতি, উপজেলা ছাত্রদলের দীর্ঘ বছরের সভাপতি এবং পরপর চারবার মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি থেকে প্রবাসেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী জালাল আহমেদ জিপু। তিনি বিগত দিনেও বিএনপির হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন নিয়েছিলেন, তবে দল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তিনি দলের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি আওয়ামী শাসন আমলে দীর্ঘ দিন জেল-জরিমানা থেকে শুরু করে আপন ভাই ও মায়ের মৃত্যুর কারণ হিসেবে দলীয় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানান, তিনি বিগত আট মাস দেশে থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। গত এক মাস হলো দেশ ত্যাগ করে ওমরাহ হজ্ব পালন শেষে যুক্তরাজ্য হয়ে দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আবার দেশে এসে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান। এদিকে এনসিপির প্রীতম দাশ তরুণ ভোটারদের মাঝে বাড়তি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন। এ আসনে বিএনপির তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। বিএনপির হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন সাবেক দলীয় প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মহসিন মিয়া মধু এবং সাবেক শ্রীমঙ্গল ছাত্রদল সভাপতি জালাল উদ্দিন জিপু। তাদের দাবি, অতীতে নানা ত্যাগ স্বীকারের পর এবার দল তাদের অবদান মূল্যায়ন করবে। এ আসনে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা পেয়েছেন সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রব। এই আসনে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব প্রীতম দাশ। তরুণ এই নেতা শুধু নতুন রাজনৈতিক শক্তির প্রতীকই নন, অতীতে তিনি ছিলেন ব্যাপক নির্যাতনের শিকার। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ২৫ হাজার গাছ রক্ষার আন্দোলন, ২০২২ সালের সিলেটের বন্যায় মানুষের পাশে থাকা প্রীতম দাশ আওয়ামী লীগের সাজানো মামলায় দীর্ঘদিন জেল খাটলেও তিনি সংগঠনের আদর্শ ও মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে সরে যাননি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সাবেক বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘নবম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল দল। সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে আমাকে হারানো হয়। আমার বিরুদ্ধে শতাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে বিশেষ আইনে গ্রেপ্তার করে আমাকে ১৪ মাস জেলে রাখা হয়। এই সময় আমার ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ চৌধুরী মারা গেলেও জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। সবকিছুর পরও আমি দলের আদর্শ থেকে সরে যাইনি। এবারও দল আমার ত্যাগের মূল্যায়ন করবে বলে বিশ্বাস করি।’ আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. মহসিন মিয়া মধু বলেন, ‘২০০১ সালে আমি ধানের শীষের প্রার্থী ছিলাম। রাজনীতির ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। বারবার জেল খেটেছি, তবুও জনসেবার কাজ চালিয়ে গেছি। মেয়র থাকা অবস্থায় গরিব ও অসহায়দের জন্য কম্বল বিতরণ, ইফতার আয়োজন, ত্রাণ বিতরণ করেছি। আমি মাঠে কাজ করছি এবং মানুষ আমাকে চায়।’ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রব বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। বৈষম্যহীন সমাজ ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চায়। জামায়াত অতীতে যেমন মানুষের পাশে ছিল, এবারও আমরা জনগণের সেবায় কাজ করব। বিশ্বাস করি, মানুষ এবার আমাদের ওপর আস্থা রাখবে।’ প্রীতম দাশ বলেন, আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়ছি। নির্যাতন, মামলা ও কারাবাস আমার মনোবল ভাঙতে পারেনি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পেলে মাঠে নেমে জনগণের সঙ্গেই নির্বাচন করব। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে হাজির জালাল উদ্দিন জিপু মুঠোফোনে জানান, দীর্ঘদিনের তৃণমূল থেকে শুরু করে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং দীর্ঘদিন হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে প্রবাসে পাড়ি দিয়েও রাজনীতি থেকে একচুল পরিমাণ জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। দেশে এসেও বিগত সরকারের আমলে জেলে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয়। দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের বহু বছরের নিরাপদ ঘাঁটি মৌলভীবাজার-৪ আসন এবার বিরোধীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার আসন হয়ে উঠেছে।
Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ১১:০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

মৌলভীবাজার-৪ আসনে নতুন সমীকরণে ৫ জন প্রার্থী

প্রকাশ : ১১:০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
 তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহিদ-এর একতরফা দখলে থাকা এ আসনে এবার নতুন সমীকরণে অঙ্ক কষতে হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সক্রিয় হয়ে আওয়ামী লীগের বহু বছরের নিরীহ চা বাগান শ্রমিকদের ‘দুর্গ’ ভাঙতে মাঠে নেমেছে। জানা যায়, চা-শ্রমিক অধ্যুষিত শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে গত তিন দশকে অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনে টানা জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুস শহিদ। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আব্দুস শহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাবে ভাটা নামে। বিরোধী শিবির এখন এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে শক্ত অবস্থান গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। মৌলভীবাজার-৪ আসনে বিএনপি ও জামায়াত ঐতিহ্যগতভাবে সক্রিয়। তেমনি চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতা, ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সেনাপতি, উপজেলা ছাত্রদলের দীর্ঘ বছরের সভাপতি এবং পরপর চারবার মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি থেকে প্রবাসেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী জালাল আহমেদ জিপু। তিনি বিগত দিনেও বিএনপির হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন নিয়েছিলেন, তবে দল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তিনি দলের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি আওয়ামী শাসন আমলে দীর্ঘ দিন জেল-জরিমানা থেকে শুরু করে আপন ভাই ও মায়ের মৃত্যুর কারণ হিসেবে দলীয় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানান, তিনি বিগত আট মাস দেশে থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। গত এক মাস হলো দেশ ত্যাগ করে ওমরাহ হজ্ব পালন শেষে যুক্তরাজ্য হয়ে দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আবার দেশে এসে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান। এদিকে এনসিপির প্রীতম দাশ তরুণ ভোটারদের মাঝে বাড়তি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন। এ আসনে বিএনপির তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। বিএনপির হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন সাবেক দলীয় প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মহসিন মিয়া মধু এবং সাবেক শ্রীমঙ্গল ছাত্রদল সভাপতি জালাল উদ্দিন জিপু। তাদের দাবি, অতীতে নানা ত্যাগ স্বীকারের পর এবার দল তাদের অবদান মূল্যায়ন করবে। এ আসনে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা পেয়েছেন সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রব। এই আসনে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব প্রীতম দাশ। তরুণ এই নেতা শুধু নতুন রাজনৈতিক শক্তির প্রতীকই নন, অতীতে তিনি ছিলেন ব্যাপক নির্যাতনের শিকার। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ২৫ হাজার গাছ রক্ষার আন্দোলন, ২০২২ সালের সিলেটের বন্যায় মানুষের পাশে থাকা প্রীতম দাশ আওয়ামী লীগের সাজানো মামলায় দীর্ঘদিন জেল খাটলেও তিনি সংগঠনের আদর্শ ও মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে সরে যাননি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সাবেক বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘নবম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল দল। সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে আমাকে হারানো হয়। আমার বিরুদ্ধে শতাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে বিশেষ আইনে গ্রেপ্তার করে আমাকে ১৪ মাস জেলে রাখা হয়। এই সময় আমার ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ চৌধুরী মারা গেলেও জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। সবকিছুর পরও আমি দলের আদর্শ থেকে সরে যাইনি। এবারও দল আমার ত্যাগের মূল্যায়ন করবে বলে বিশ্বাস করি।’ আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. মহসিন মিয়া মধু বলেন, ‘২০০১ সালে আমি ধানের শীষের প্রার্থী ছিলাম। রাজনীতির ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। বারবার জেল খেটেছি, তবুও জনসেবার কাজ চালিয়ে গেছি। মেয়র থাকা অবস্থায় গরিব ও অসহায়দের জন্য কম্বল বিতরণ, ইফতার আয়োজন, ত্রাণ বিতরণ করেছি। আমি মাঠে কাজ করছি এবং মানুষ আমাকে চায়।’ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রব বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। বৈষম্যহীন সমাজ ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চায়। জামায়াত অতীতে যেমন মানুষের পাশে ছিল, এবারও আমরা জনগণের সেবায় কাজ করব। বিশ্বাস করি, মানুষ এবার আমাদের ওপর আস্থা রাখবে।’ প্রীতম দাশ বলেন, আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়ছি। নির্যাতন, মামলা ও কারাবাস আমার মনোবল ভাঙতে পারেনি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পেলে মাঠে নেমে জনগণের সঙ্গেই নির্বাচন করব। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে হাজির জালাল উদ্দিন জিপু মুঠোফোনে জানান, দীর্ঘদিনের তৃণমূল থেকে শুরু করে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং দীর্ঘদিন হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে প্রবাসে পাড়ি দিয়েও রাজনীতি থেকে একচুল পরিমাণ জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। দেশে এসেও বিগত সরকারের আমলে জেলে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয়। দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের বহু বছরের নিরাপদ ঘাঁটি মৌলভীবাজার-৪ আসন এবার বিরোধীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার আসন হয়ে উঠেছে।