ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাশ দাফনের পর এখন জীবিত

আজকের তরুণকণ্ঠ

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছে ‘লাশের গল্প’। যে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে ধরে নিয়ে স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন, সেই রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) জীবিত উদ্ধার হয়েছে! শুক্রবার (২২শে আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুরে নানার বাড়ি থেকে তাকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পান স্বজনরা।

পরে কুলাউড়া থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় এবং শনিবার (২৩শে আগস্ট) মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করে। রবিউল সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গদিয়াচর গ্রামের কানাই মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গোয়ালাবাজারের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী রবিউল গত ২৬শে জুলাই নিখোঁজ হয়। এরপর ৩রা আগস্ট কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল রেলস্টেশনের পাশের ডোবা থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরিবার সেটিকে রবিউলের লাশ বলে দাবি করে এবং অভিযোগ তোলে— রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া তাকে হত্যা করেছেন। মামলা নিতে গড়িমসির পর ৬ই আগস্ট লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন রবিউলের মা ও স্বজনরা। পরে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, “রবিউল আত্মগোপনে ছিল। পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে পেয়ে খবর দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগের লাশ ও মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Tag :

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০৩:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

লাশ দাফনের পর এখন জীবিত

প্রকাশ : ০৩:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছে ‘লাশের গল্প’। যে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে ধরে নিয়ে স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন, সেই রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) জীবিত উদ্ধার হয়েছে! শুক্রবার (২২শে আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুরে নানার বাড়ি থেকে তাকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পান স্বজনরা।

পরে কুলাউড়া থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় এবং শনিবার (২৩শে আগস্ট) মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করে। রবিউল সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গদিয়াচর গ্রামের কানাই মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গোয়ালাবাজারের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী রবিউল গত ২৬শে জুলাই নিখোঁজ হয়। এরপর ৩রা আগস্ট কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল রেলস্টেশনের পাশের ডোবা থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরিবার সেটিকে রবিউলের লাশ বলে দাবি করে এবং অভিযোগ তোলে— রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া তাকে হত্যা করেছেন। মামলা নিতে গড়িমসির পর ৬ই আগস্ট লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন রবিউলের মা ও স্বজনরা। পরে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, “রবিউল আত্মগোপনে ছিল। পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে পেয়ে খবর দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগের লাশ ও মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”