ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাল ফিতায় বন্দী পীরগঞ্জের স্বাস্থ্যসেবা, বাড়ছে জনভোগান্তি

আজকের তরুণকণ্ঠ

সাকিব আহসান, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট যেন ‘ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জরুরি বিভাগে সহকারী সার্জনের পরিবর্তে বেশিরভাগ সময় রোগীদের সেবা দেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (SACMO) এবং অধস্তন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

ভর্তি রোগীদের পাশাপাশি জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে রোগীদের ‘সেবা প্রদানের চাপ’ নেওয়ার ক্ষমতা পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় হারিয়ে ফেলেছে। তা ছাড়া রোগীকে ‘রেফার‘ করার সস্তা কৌশল তো রয়েছেই।

নিযুক্ত সহকারী সার্জন ও মেডিকেল অফিসারেরা ব্যক্তিগত চেম্বার, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের শেয়ার এবং উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে তা মাইকে এলাকাজুড়ে ঘোষণা করে ‘সুপ্ত আনন্দের সুড়সুড়ি উপভোগ’ নিয়েই ব্যস্ত। তদবির করে চিকিৎসকেরা নিজেদের কর্মস্থল পরিবর্তন করান ধনীদের নগরে।

বাসনা একটাই, বহুতল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (বা, তাপানুকূল) চেম্বারে বসে মোটা অঙ্কের ভিজিট নিয়ে অসহায় রোগীদের হাতে ওষুধ কোম্পানির ফরমায়েশি প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেওয়া।

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ চিকিৎসক পদসংখ্যা ৩০ হলেও নিয়োগ পাওয়ার পর চিকিৎসকেরা উড়াল দেন স্বীয় স্বার্থের দূর দ্বীপে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জব্বার জানান, “হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট প্রকট। স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে এই উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার রোগীদেরও সেবা দিতে হচ্ছে। এতে রোগীদেরও ভোগান্তি হচ্ছে। সংকট নিরসনে একাধিকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদা পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক পদায়ন হয়নি।”

ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুল বাসার মো. সায়েদুজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসক সংকট নিরসনে আমরা প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। নতুন চিকিৎসক নিয়োগ না হওয়া এবং তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ কোর্সে যোগদানের কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই সংকট কেটে যাবে।’


পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০৬:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

লাল ফিতায় বন্দী পীরগঞ্জের স্বাস্থ্যসেবা, বাড়ছে জনভোগান্তি

প্রকাশ : ০৬:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

সাকিব আহসান, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট যেন ‘ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জরুরি বিভাগে সহকারী সার্জনের পরিবর্তে বেশিরভাগ সময় রোগীদের সেবা দেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (SACMO) এবং অধস্তন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

ভর্তি রোগীদের পাশাপাশি জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে রোগীদের ‘সেবা প্রদানের চাপ’ নেওয়ার ক্ষমতা পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় হারিয়ে ফেলেছে। তা ছাড়া রোগীকে ‘রেফার‘ করার সস্তা কৌশল তো রয়েছেই।

নিযুক্ত সহকারী সার্জন ও মেডিকেল অফিসারেরা ব্যক্তিগত চেম্বার, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের শেয়ার এবং উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে তা মাইকে এলাকাজুড়ে ঘোষণা করে ‘সুপ্ত আনন্দের সুড়সুড়ি উপভোগ’ নিয়েই ব্যস্ত। তদবির করে চিকিৎসকেরা নিজেদের কর্মস্থল পরিবর্তন করান ধনীদের নগরে।

বাসনা একটাই, বহুতল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (বা, তাপানুকূল) চেম্বারে বসে মোটা অঙ্কের ভিজিট নিয়ে অসহায় রোগীদের হাতে ওষুধ কোম্পানির ফরমায়েশি প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেওয়া।

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ চিকিৎসক পদসংখ্যা ৩০ হলেও নিয়োগ পাওয়ার পর চিকিৎসকেরা উড়াল দেন স্বীয় স্বার্থের দূর দ্বীপে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জব্বার জানান, “হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট প্রকট। স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে এই উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার রোগীদেরও সেবা দিতে হচ্ছে। এতে রোগীদেরও ভোগান্তি হচ্ছে। সংকট নিরসনে একাধিকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদা পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক পদায়ন হয়নি।”

ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুল বাসার মো. সায়েদুজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসক সংকট নিরসনে আমরা প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। নতুন চিকিৎসক নিয়োগ না হওয়া এবং তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ কোর্সে যোগদানের কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই সংকট কেটে যাবে।’