ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যরাতে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে দুই উপদেষ্টার স্ট্যাটাস: আসছে চূড়ান্ত ঘোষণা

আজকের তরুণকণ্ঠ

ঢাকা, ২ আগস্ট: 

মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে নিজেদের ফেসবুক আইডিতে এ বিষয়ে পোস্ট করেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণআকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।”

একই সময়ে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার ফেসবুক আইডিতে একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু জোরালো বার্তা দেন: “জুলাই ঘোষণাপত্র আসছে…”

দুই উপদেষ্টার এই ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যে, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের পর যে ঘোষণাপত্রের জন্য পুরো জাতি অপেক্ষায় ছিল, তা অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।

চূড়ান্ত পর্যায়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’

জানা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ শীর্ষক ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এই খসড়াটি মতামতের জন্য বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কাছে পাঠানো হয়েছে।

একটি নির্ভরযোগ্য সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৫ আগস্টের আগেই যেকোনো দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে এই খসড়াটি জাতির সামনে তুলে ধরবেন। সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করে খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিতর্ক এড়ানো যায়। এতে মোট ২৬টি দফা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

খসড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এতে বলা হয়েছে যে জুলাই অভ্যুত্থানটি “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে” সংঘটিত হয়েছিল, যা প্রাথমিক খসড়ায় “ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে” উল্লেখ ছিল।

২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের ঘোষণা দেয়। প্রথমে এই ঘোষণাপত্র তৈরির প্রক্রিয়ায় সরকার সরাসরি জড়িত না থাকলেও, পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে এই ঐতিহাসিক দলিলের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সাম্প্রতিক ঘোষণায় এটি এখন স্পষ্ট যে, ৫ আগস্টের মধ্যেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যা দেশের ভবিষ্যতের পথচলাকে নির্ধারণ করবে।

পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

প্রকাশ : ০১:৩৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

মধ্যরাতে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে দুই উপদেষ্টার স্ট্যাটাস: আসছে চূড়ান্ত ঘোষণা

প্রকাশ : ০১:৩৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা, ২ আগস্ট: 

মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে নিজেদের ফেসবুক আইডিতে এ বিষয়ে পোস্ট করেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণআকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।”

একই সময়ে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার ফেসবুক আইডিতে একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু জোরালো বার্তা দেন: “জুলাই ঘোষণাপত্র আসছে…”

দুই উপদেষ্টার এই ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যে, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের পর যে ঘোষণাপত্রের জন্য পুরো জাতি অপেক্ষায় ছিল, তা অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।

চূড়ান্ত পর্যায়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’

জানা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ শীর্ষক ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এই খসড়াটি মতামতের জন্য বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কাছে পাঠানো হয়েছে।

একটি নির্ভরযোগ্য সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৫ আগস্টের আগেই যেকোনো দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে এই খসড়াটি জাতির সামনে তুলে ধরবেন। সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করে খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিতর্ক এড়ানো যায়। এতে মোট ২৬টি দফা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

খসড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এতে বলা হয়েছে যে জুলাই অভ্যুত্থানটি “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে” সংঘটিত হয়েছিল, যা প্রাথমিক খসড়ায় “ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে” উল্লেখ ছিল।

২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের ঘোষণা দেয়। প্রথমে এই ঘোষণাপত্র তৈরির প্রক্রিয়ায় সরকার সরাসরি জড়িত না থাকলেও, পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে এই ঐতিহাসিক দলিলের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সাম্প্রতিক ঘোষণায় এটি এখন স্পষ্ট যে, ৫ আগস্টের মধ্যেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যা দেশের ভবিষ্যতের পথচলাকে নির্ধারণ করবে।