দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:
মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ঢাকার নবাবগঞ্জের এক মাদক ব্যবসায়ী সাংবাদিক কাজি জোবায়ের আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় নবাবগঞ্জসহ ঢাকা জেলার সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার এবং অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
গত ২৪ জুন সাপ্তাহিক 'এশিয়া বার্তা' পত্রিকায় হাসনাবাদের মাদক ব্যবসায়ী মো. মাসুমের মাদক কারবার এবং অবৈধ সম্পদ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বল্প সময়েই মাসুম বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে একটি বহুতল ভবন ও মাছের প্রজেক্ট। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ ও জিডি রয়েছে নবাবগঞ্জ থানায়।
এই সংবাদ প্রকাশের পরই প্রতিশোধ নিতে এবং নিজের অপরাধ ধামাচাপা দিতে মাসুম বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি সাপ্তাহিক এশিয়া বার্তার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এস-এর নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি কাজি জোবায়ের আহমেদকে প্রধান আসামি করে আরও চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে নবাবগঞ্জ থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।
এই মিথ্যা মামলাকে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও সত্য প্রকাশের পথে এক গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ঢাকা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, "যারা সাংবাদিকের কলম রুখতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।" তিনি সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
দোহার প্রেসক্লাবের সভাপতি তারেক রাজিব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং বলেন, "সঠিক তদন্ত করে মাদক কারবারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সাংবাদিক সংগঠনগুলো বড় কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।"
নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জহির আহমেদ সারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সব সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।"
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক একজন নেতা বলেন, সাংবাদিকের নিউজে ক্ষুব্ধ হয়ে ভিন্ন কৌশলে মামলা করা হয়েছে, যাতে বলা না যায় যে মামলাটি সংবাদ সংক্রান্ত।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, "পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসবে।"
সাংবাদিক নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি দ্রুত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হয়, তবে বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
মেবাইল: 01715341442,01887911655 ই-মেইল: newstarunkantha@gmail.com
ajkertarunkantha.com