মারুফ হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাজীপুরের কালীগঞ্জে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বনভূমি রক্ষায় এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) দিনব্যাপী এই অভিযানে ৪৪টি পরিবারের গড়া ১৫৫টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

গাজীপুর জেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই যৌথ অভিযানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), পুলিশ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও বন বিভাগের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। উচ্ছেদকৃত স্থাপনাগুলোর মধ্যে টিনশেড, আধাপাকা ও পাকা বাড়িও ছিল।

বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, পূর্বাচল প্রকল্পের ২৪ ও ২৫ নম্বর সেক্টরের এই ১৪৪ একর ভূমি শালবন সমৃদ্ধ হওয়ায় সরকার একে ‘বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের কেটুন ও পারাবর্তা গ্রামের কিছু লোক দীর্ঘদিন ধরে এই জমি দখল করে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিল। সরকারিভাবে একাধিকবার তাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২৪ জুলাই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা-১-এর সিনিয়র সহকারী সচিব জোনায়েদ কবীর সোহাগ এই উচ্ছেদ অভিযানের নির্দেশ দেন। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ২২(১) ধারা এবং প্রাকৃতিক বনভূমি রক্ষার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই অভিযান পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা এবং সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

অভিযানকালে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি, বিজিবির সুবেদার মো. আবুল কালাম আজাদ, র‍্যাব-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. ওয়াদুদ, পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান, বিদ্যুৎ বিভাগের সুপারভাইজার মেহেদী হাসান এবং রাজউক কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান শাহীনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।